সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫, ১০:১৬ পূর্বাহ্ন

মধুখালীতে বৃষ্টিতে বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি

মধুখালী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি:: ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’-এর প্রভাবে টানা বৃষ্টিতে মধুখালীতে বিভিন্ন ফসলের প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মাঠ-ঘাট ডুবে যাওয়ায় সকল ধরনের ফসল পানিতে ভেসে গেছে। ফসল বিক্রি করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন কৃষকরা। বৃষ্টির কারণে তাদের সেই স্বপ্ন ভেসে গেছে।

উপজেলার মেগচামী ইউনিয়নের থেকে মুঠোফোনে বাদশা মিয়া বলেন, আমি ৫০ শতক রসুন লাগিয়েছিলাম ২৫ শতক পিঁয়াজের দানা চড়িয়েছিলাম কিন্তু এখন সব পানির নিচে তলিয়ে আছে।

একই গ্রামের জিন্না মিয়া বলেন, আমি পিঁয়াজ লাগিয়েছি কিন্তু পানির নিচে সব। দুইদিনের বেশি জমিতে পানি থাকলে সব পিঁয়াজ পঁচে নষ্ট হয়ে যাবে। অগ্রায়নের বৃষ্টি আমাদের সব শেষ করে দিয়ে গেলো। রায়পুর ইউনিয়নের ব্যাসদী গ্রামের চাষী লাভলু মিয়া জানান, মৌসুমি ফষল আলু, মুশুড়ী ও আখ রোপন করেছিলাম দুদিনের বৃষ্টিতে সবই পানির নীচে। দ্রুত পানি না সরলে সবই নষ্ট হয়েছে যাবে। একই গ্রামের আলীমউদ্দিন শেখ জানান, এক একর খেশারী কলাই দুুবার করে বুনেছি বৃষ্টিতে ক্ষেতে আধা হাটু জল সব শেষ হয়ে গেল। বর্মমানে হাতে টাকা নাই যে আবার খেশারী কলাইয়ের বীজ ক্রয়করবো। আক্কাস কবির জানান, নিজের ও লীজ নিয়ে খেশারীর বীজ বুনেছিলাম দুদিনে বৃষ্টিতে সব শেষ হয়ে গেল।

আড়পাড়া এলাকার কৃষক মোঃ আকরাম শেখ বলেন, ধান সব পানির নিচে। সব কেটে শেষ করতে পারিনি। ধানের ব্যাপক ক্ষতি হলো আমাদের। বৃষ্টির কারনে পিঁয়াজ, রসুন নয়, পটোল, করলা, লাউ, সিম, মূলাসহ বিভিন্ন ধরনের শীতকালীন সবজি ক্ষেত।

মধুখালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ আলভির রহমান বলেন, উপজেলায় ৯৭ ভাগ ধান কাটা শেষ। বৃষ্টিতে ৩৪৮৫ হেক্টর জমির ফসল পানির নিচে নিমজ্জিত রয়েছে। সব ধান কাটা হলেও সেগুলো মাঠে থাকার কারনে কৃষকের বড় ক্ষতি হয়েছে। উপজেলার ৮৩০ হেক্টর জমিতে খেশারী আবাদ হয়েছে তার মধ্যে প্রায় ৫শ হেক্টর নিমজ্জিত রয়েছে। দুদিন গেলে উপজেলার রবি ফসলের ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নির্নয় করা সম্ভব হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com